ঢাকা , মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ , ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
দেশে অনিবন্ধিত কারখানা প্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় লাখ ডিআরইউতে জনশক্তি রফতানিকারকদের দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আওয়ামীপন্থি ৬১ আইনজীবীর জামিন স্থগিতই থাকছে রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তির কারণে অচলাবস্থা নিরসনের দাবি সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের রাখাইনে করিডোর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে- কাদের গনি চৌধুরী ভারতীয় আধিপত্য-ধর্মীয় উগ্রতাসহ ৭ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট এনসিপির এস আলমসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন রপ্তানি বহুমুখীকরণে নানা বাধা, বিপর্যয়ের শঙ্কা পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সীমান্তে ১০ হাজারেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস ক্যানসারে আক্রান্ত বাইডেন গাজায় আরও দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় সরিয়ে নেয়ার খবর সত্য নয়: মার্কিন দূতাবাস আলোচনায় বসবে পাকিস্তান, চীন ও আফগানিস্তান রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেলো অ্যাতলেতিকো সেভিয়ার সাথে জয় পেলো রিয়াল ভিয়ারিয়ালের কাছে হারের স্বাদ পেলো বার্সা আইপিএলে ডাক পেলেন মুজারাবানি এশিয়া কাপে থেকে নাম প্রত্যাহারের খবর অস্বীকার করলো বিসিসিআই পিএসএল খেলার জন্য এনওসি পেলেন মিরাজ এবার লাহোরে ডাক পেলেন মিরাজ

মিয়ানমারের ৮৬ শতাংশ শহর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ॥ বেকায়দায় জান্তা

  • আপলোড সময় : ৩১-০৫-২০২৪ ০৯:৩০:১৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০৬-২০২৪ ১২:০৬:৫৮ অপরাহ্ন
মিয়ানমারের ৮৬ শতাংশ শহর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ॥ বেকায়দায় জান্তা মিয়ানমারে ততোই সংগঠিত হচ্ছে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী, আর দুর্বল হচ্ছে জান্তা
জনতা ডেস্ক
দিন যতো যাচ্ছে, মিয়ানমারে ততোই সংগঠিত হচ্ছে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী, আর দুর্বল হচ্ছে জান্তা। একদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত এলাকার সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে অধিকাংশ সংঘাতে পরাজিত হতে হতে বেকায়দায় রয়েছে জান্তাবাহিনী। আন্তর্জাতিক দুই থিঙ্কট্যাংক সংস্থা স্পেশাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমার (স্যাক-এম) অ্যাড এবং ক্রাইসিস গ্রুপের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে এই তথ্য। স্যাক-এমের প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, বর্তমানে মিয়ানমারের ৮৬ শতাংশ শহর-গ্রামে জান্তার কোনো কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নেই। মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ বসবাস করে এসব শহর-গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্যাক-এমের গবেষকরা বলেন, ‘শাসক হিসেবে ন্যূনতম যেসব দায়িত্ব পালন করা উচিত, মিয়ানমারের অধিকাংশ এলাকায় সেসবও পালন করতে পারছে না জান্তা। দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে এবং এর ফলে ব্যাপক চাপে পড়া জান্তাগোষ্ঠী এখন আক্রমণাত্মক অবস্থান ছেড়ে রক্ষণাত্মক ভূমিকা নিতে বাধ্য হচ্ছে।’ এদিকে ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত আট মাসে অধিকাংশ সংঘাতে বিজয়ী মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আরও সংগঠিত হয়েছে। এমনকি মিয়ানমার-থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তও এখন তাদের দখলে।’ প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতার শুরু ২০২২ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে। ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচি এবং তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমেক্রেসির হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারা অন্তরীণ করে জান্তা, সেই সঙ্গে গণতন্ত্রকামী জনগণের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলনও নির্মমভাবে দমন করে। মূলত তারপর থেকেই মিয়ানমারের রাজনীতিতে উত্থান ঘটতে থাকে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর। গত বছর অক্টোবরে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরের দখল নিতে যুদ্ধ শুরু করে। গত প্রায় আট মাস ধরে চলমান এই যুদ্ধে দেশের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্রোহীরা বিজয়ী হয়েছে এবং তাদের এই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে নিজেদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে ক্রাইসিস গ্রুপ। বিদ্রোহীদের একের পর এক বিজয় রাজধানী নেইপিদো অভিজাতদের মধ্যে হতাশা বাড়িয়ে তুলছে এবং মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের ভবিষ্যৎকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে মন্তব্য করা হয়েছে ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে। ‘শিগগিরই হয়তো তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা নেই, কিন্তু যদি তাকে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়, তাহলে তা ঠেকানোর সাধ্যও তার নেই,’ বিবৃতিতে বলেছে ক্রাইসিস গ্রুপ। এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে মন্তব্য চেয়ে জান্তা মুখপাত্রদের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

ভারতীয় আধিপত্য-ধর্মীয় উগ্রতাসহ ৭ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট এনসিপির

ভারতীয় আধিপত্য-ধর্মীয় উগ্রতাসহ ৭ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট এনসিপির